আমাদের কথাঃ-
“মসজিদ ডট কেয়ার” একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। বাহিরচড়া মাদ্রাসা দারুল উলুম গুলশানে পাঞ্জাতন এর একটি উদ্যোগ। আমাদের উদ্দেশ্য সমাজের অবহেলিত পশ্চাদপদ জন গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং বৌদ্ধিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে মৌলিক গবেষণা করা ও গবেষণা লব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগে বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ ও ব্যাস্তবায়ন। বর্তমানে আমরা কাজ করছি মসজিদ ভিত্তিক কর্জে হাসানা বা ১০০% সুদ মুক্ত ঋণদান প্রকল্প নিয়ে।
মহান আল্লাহ সুদ হারাম করেছেন। সুদের বিষয়ে যত কঠিন কথা বলেছেন, অন্য কোন বিষয়ে তা বলেননি। আবার কর্জে হাসানা বা সুদ মুক্ত ঋণ সম্পর্কে যথেষ্ঠ উৎসাহ প্রদান করেছেন।
“মসজিদ ডট কেয়ার” হলো একটি অনন্য উদ্যোগ, যা সুদখোর ও দাদন ব্যবসায়ীদের শৃঙ্খল থেকে প্রান্তিক দরিদ্র মানুষদের মুক্তি দিয়ে তাদের জীবনে সফলতার গল্প রচনা করে। লাখো মলিন মুখে হাসি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এটি কাজ করে। ফাইন্যান্সিয়াল, ম্যানেজমেন্ট, প্রমোশনাল বা ইন্টেলেকচুয়াল সাপোর্ট দিয়ে এই মহৎ যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং মমতাময় এই সাহসী অভিযাত্রার একজন গর্বিত সহযোদ্ধা হয়ে উঠুন!
এক নজরেঃ-
মানুষের জন্য:- প্রান্তিক, দরিদ্র ও সংকটে নিপতিত নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের বহুমুখী সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গড়ে উঠেছে – “মসজিদ ডট কেয়ার”। মসজিদ ভিত্তিক হলেও – সকল ধর্মের মানুষরাই সেবা পাচ্ছেন এবং সকল সেবা ১০০% ফ্রি!
মসজিদ ভিত্তিক এবং শুক্রবার ভিত্তিক কার্যক্রম :- এটি একটি মসজিদ ভিত্তিক ও শুক্রবার ভিত্তিক কার্যক্রম। শুধুমাত্র শুক্রবার দিন জুম্মার নামাজের পরে মসজিদে বসেই সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর বাইরে কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ। মসজিদ গুলোতে ব্রাঞ্চ স্থাপন করে লোকাল ম্যানেজমেন্ট টিমের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা করা হয়। মসজিদের আওতাধীন এলাকা বা সমাজের মধ্যে সকল সেবা সীমাবদ্ধ থাকে। মসজিদ ডট কেয়ার এক্সিউটিভ কমিটি সরাসরি কোনো সেবা কাজের সুবিধা প্রাপক নির্বাচন করে না; কোনো ঋণের অনুমোদনও প্রদান করে না এবং সরাসরি কোনো সেবাও প্রদান করে না।
প্রধান সেবা – সুদ মুক্ত ঋণ:- ১০০% সুদ মুক্ত ঋণ বা কর্জে হাসানা বিতরণ – “মসজিদ ডট কেয়ার” এর প্রধান সেবা। মুনাফা, সার্ভিস চার্জ, জরিমানা, জামানত, আবেদন পত্রের ফি, এসএমএস চার্জ, আপদকালীন সঞ্চয় – কোন কিছুই নেই। মোটকথা ঋণ গ্রহীতাকে যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয় সেটাই তারা নির্ধারিত ছোট ছোট কিস্তিতে ফেরত প্রদান করে থাকেন। কোন অজুহাতেই একটি পয়সাও অতিরিক্ত প্রদান করতে হয় না।
অন্যান্য সেবা সমূহ :- আগামী দিনে মসজিদ ডট কেয়ার বিভিন্ন স্থায়ী উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গ্রহণ করবে ইনশাল্লাহ। যেমন – মডেল স্কুল, স্কিল ডেভলপমেন্ট, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বয়সজনিত কারণে অক্ষম মানুষদের জন্য সহায়তা প্রকল্প, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা প্রকল্প, গোষ্ঠীভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি। সবগুলো সেবা – ব্রাঞ্চ ভিত্তিক। যেখানে কোন ব্রাঞ্চ স্থাপিত হয়, শুধুমাত্র সেই এলাকার মানুষই এই সেবা পাওয়ার যোগ্য।।
জিরো কস্ট বা শুন্য খরচ প্রকল্প:- মসজিদগুলোতে ব্রাঞ্চ স্থাপন করা হয় বলে এক পয়সাও ভাড়া দিতে হয় না। শতভাগ মানুষ স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করেন। কাউকে এক পয়সাও প্রদান করতে হয় না।
প্রাপ্ত ডোনেশন যেভাবে বন্টন হয়:- প্রাপ্ত ডোনেশানের শতভাগ কর্জে হাসানা বা সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণের জন্য মসজিদ গুলোর মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয়। এক পয়সাও মসজিদ ডট কেয়ার ব্যয় করে না কিংবা কর্জে হাসানা ব্যতীত অন্য কোন খাতে ব্যয়িত হয় না।
সকল সেবা ১০০% ফ্রি:- কোনো সেবার জন্য ব্রাঞ্চ গুলোর যেমন “মসজিদ ডট কেয়ার” কে এক পয়সাও দিতে হয় না; তেমনি ভাবে – ঋন গ্রহীতা বা সেবা গ্রহীতাদেরও ব্রাঞ্চগুলোকে এক পয়সাও প্রদান করতে হয় না।
ওপেন ওয়েবসাইট:- ওয়েবসাইটকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। পাই-পয়সার হিসাব সহ সমস্ত তথ্য সারা দুনিয়ার জন্য উন্মুক্ত। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ চাইলে যে কোন তথ্য দেখতে পারেন ।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা :- “মসজিদ ডট কেয়ার” কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত নয় । মানব সেবার জন্য – এটা সকল ধর্মের এবং সকল মতাদর্শের মানুষদের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম।
সুদ মুক্ত ঋণ পাওয়ার পদ্ধতিঃ-
কোনো এলাকার মসজিদে “মসজিদ ডট কেয়ার” ব্রাঞ্চ থাকলে সেই মসজিদ এলাকার মানুষের পক্ষে এই ঋণ পাওয়ার সুযোগ এবং সম্ভাবনা তৈরি হবে। অন্যথায় এই ঋণ পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মসজিদ গুলোতে ব্রাঞ্চ স্থাপন করে ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীমের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ ও কিস্তি আদায় কার্য পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি ব্রাঞ্চ শুধুমাত্র ঐ মসজিদ এলাকা ভূক্ত লোকজনের মধ্যে এই ঋণ বিতরণ করতে পারে; এলাকার বাইরে কাউকে ঋণ প্রদান করতে পারে না।
ঋণ সম্পর্কিত তথ্যঃ-
এটি সম্পূর্ণ সুদ মুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প । দেশের প্রান্তিক দরিদ্র, নিম্নমধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সংকটে নিপতিত মানুষদের জন্য এই ঋণ। সাধারণভাবে এই ঋণের সর্বোচ্চ সীমা মাত্র 20 হাজার টাকা। ঋণ নেওয়ার পর গ্রহীতা তার আবেদন পত্রে উল্লেখিত নিয়মে সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করবেন। ঋণ প্রদান বা কিস্তি আদায় সবই শুক্রবারে জুম্মার নামাজের পর মসজিদে বসেই সম্পাদিত হবে।
আমাদের গ্রামে গঞ্জে অনেক সম্ভাবনাময় মানুষ আছেন যারা সারা গ্রাম এবং আত্মীয় স্বজনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে 1000 বা 2000 টাকা পুঁজি জোগাড় করতে পারেন না। অথচ সামান্য পুঁজি বা সাপোর্ট পেলেই এরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। এদেরকে নিয়েই “মসজিদ ডট কেয়ার” এর কর্মপ্রচেষ্টা। মূলত এরাই – টার্গেট গ্রুপ।
ক্ষুদ্র ব্যবসার চলতি মূলধন, নুতন ব্যবসার জন্যে ক্ষুদ্র ঋণ, ঘর মেরামত, রিক্সা ভ্যান/টোটো ইত্যাদি মেরামত বা ক্রয়, সাইকেল ক্রয়, সেলাই মেশিন ক্রয়, জমির সার বীজ ক্রয় এবং সেচ, সন্তানের লেখাপড়া, চিকিৎসার কাজে, মেয়ের বিয়ের জন্যে সহ নানা প্রয়োজনে এই ঋণ প্রদান করা হয়। তবে সব সময় উৎপাদনশীল খাত বা নুতন উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
ঋণ প্রদানের সাথে সাথে আমরা ঋণগ্রহীতাকে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন এবং মোটিভেশন দেওয়ার চেষ্টা করি – যেখান থেকে ঋণ গ্রহীতা তার জীবন বদলানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। এদের হাসিতেই একদিন উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে – আমাদের প্রিয় দেশ।
ফান্ড ম্যানেজমেন্টঃ-
ফান্ডের উৎসঃ- “মসজিদ ডট কেয়ার” এর প্রধান প্রকল্প কর্জে হাসানা বা সুদ মুক্ত ঋণের ফান্ডের মূল উৎস হচ্ছে ডোনেশন বা অনুদান। ডোনেশান বা অনুদান প্রদান করতে চাইলে ওয়েবসাইটের “দান করুন” বাটন এ ক্লিক করলে সেখানে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং একটি কিউআর কোড দেখতে পাবেন। যে কোন একটিতে আপনার অনুদান পাঠান।
ডোনেশন প্রদান করে যে ভাবে জানাবেনঃ- আপনার অনুদান পাঠানোর পর ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টের বিবরণের নীচে “অনুদান নিশ্চিত করুন” ফরমটি পুরন করে দিন। অথবা ই-মেইল:- masjid.care@gmail.com বা হোয়াটসঅ্যাপ: 9609580300 এর মাধ্যমে জানিয়ে দিন।
ডোনেশন এর ব্যবহারঃ- ডোনেশান বাবদ প্রাপ্ত সমস্ত টাকা ব্রাঞ্চ গুলোর মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয় – কর্জে হাসানা বা সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণের জন্য। ডোনেশন বাবদ প্রাপ্ত টাকা হতে “মসজিদ ডট কেয়ার” এবং ব্রাঞ্চ গুলো একটি পয়সাও ব্যয় নির্বাহ করে না। ডোনেশন বাবদ প্রাপ্ত সমস্ত টাকা – প্রত্যেকটা ডোনারের নামে পৃথক পৃথক ভাবে আমাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয় এবং ফান্ড ট্রাক করে তিনি জানতে পারেন তার প্রদত্ত টাকা কোন মসজিদকে দেওয়া হয়েছে।
অনুদান ব্যবহারের রিপোর্টঃ– আমরা সমস্ত হিসাব মসজিদ ডট কেয়ার ওয়েবসাইটে আপলোড করি, যা সবার জন্য উন্মুক্ত। আমাদের কার্যক্রম ১০০% স্বচ্ছ। আপনার দান নিশ্চিত করার ২৪ ঘন্টা পর আমাদের ওয়েবসাইটের “দাতা” বাটনে ক্লিক করে আপনার অনুদান আপডেট বা প্রকাশিত হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। আপনি আপনার নিজ নামে ডোনেশন প্রদর্শন করতে না চাইলে – আপনার কোন মৃত আত্মীয় স্বজনের নামে বা ছদ্মনামে প্রদর্শন করাতে পারেন।
ব্রাঞ্চ খোলার প্রক্রিয়াঃ-
“শাখা খুলুন” বাটনে ক্লিক করলেই জানতে পারবেন কি ভাবে নুতন ব্রাঞ্চ বা শাখা খুলতে হয়; কি ভাবে ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীম গঠন করতে হয় এবং কি ভাবে অন-লাইনে আবেদন করতে হয়। নীচে সংক্ষেপে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো।
পশ্চিমবঙ্গের যে কোনো মসজিদে “মসজিদ ডট কেয়ার” এর ব্রাঞ্চ খোলার জন্য আবেদন করা যাবে। মসজিদের আওতাধীন এলাকা বা সমাজের মধ্যে থেকে ১০ সদস্যের ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীম গঠন করতে হবে। এই টীমের মধ্যে একজন টিম লিডার থাকেন, একজন কোষাধ্যক্ষ থাকেন এবং বাকি সবাই থাকেন টীম মেম্বার। ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীম – মসজিদ কমিটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তবে মসজিদ কমিটির যে কেউ বা সবাই এই টীমে অন্তর্ভুক্ত থাকতে কোনো বাধা নেই।
একটা অনলাইন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যে কারনে, এলাকার শিক্ষিত যুব সমাজকে নিয়ে ম্যানেজমেন্ট টীম গঠন করে এর পাশাপাশি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরুব্বীদের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা টীম গঠন করা যেতে পারে। এই ম্যানেজমেন্ট টীম – উক্ত সমাজের লোকদের মধ্য থেকে ঋণ গ্রহীতা বাছাই করেন। ঋণ প্রদান ও কিস্তি আদায় করেন। ওয়েবসাইটে হিসাব এন্ট্রি করেন। উপদেষ্টা কমিটি বুদ্ধি পরামর্শ ও বিভিন্ন ভাবে সাপোর্ট দিয়ে ম্যানেজমেন্ট টীমকে সহায়তা করেন।
ঋণ বিতরণে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না হয় এবং উপযুক্ত লোকেরাই যাতে ঋণ পায় এবং তারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে – সে বিষয়ে মসজিদ ডট কেয়ার এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে কার্যক্রম মনিটরিং করা হয়।
ব্রাঞ্চে ফান্ড সরবরাহ প্রক্রিয়াঃ-
নিজ নিজ এলাকার স্বচ্ছল ব্যক্তিদের অনুদান নিয়ে ব্রাঞ্চ পরিচালনাকে উৎসাহিত করা হয়। তবে যে সব এলাকায় অনুদান প্রদানের জন্যে স্থানীয় লোকদের মধ্যে কেউ এগিয়ে আসেন না সে সব ব্রাঞ্চকে – “মসজিদ ডট কেয়ার” ফান্ড ম্যানেজ করে দিয়ে থাকে।
প্রথম ধাপ ফান্ড:- একটি ব্রাঞ্চ অনুমোদনের পর – প্রথম ধাপে প্রদান করা হয় ২০,০০০ (কুড়ি হাজার) টাকা।
দ্বিতীয় ধাপ ফান্ড:- দ্বিতীয় ধাপে প্রদান করা হয় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা। উল্লেখ্য দ্বিতীয় ধাপের টাকা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করতে হয় এবং ৮ জনকে ঋণ প্রদান করতে হয়। এছাড়া সমুদয় নিয়ম-নীতি যথাযথভাবে পালন করতে হয়।
তৃতীয় ধাপ ফান্ড:- এলাকার সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে, সবার মধ্যে সম্প্রীতি থাকলে, ওভারডিউ লোন না থাকলে, মসজিদ ডট লাইফের সব নির্দেশনা যথাযথভাবে মেনে চললে – তৃতীয় ধাপে আরো ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পাওয়া যাবে ইনশাল্লাহ। তৃতীয় ধাপের টাকা পাওয়ার জন্য কমপক্ষে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করতে হবে এবং ন্যূনতম ২০ জনকে ঋন প্রদান করতে হবে।
চতুর্থ ধাপের ফান্ড:- যেসব ব্রাঞ্চ গুলোর কার্যক্রম খুবই ভালো পরিলক্ষিত হবে। যারা ঋণ বিতরণের মাধ্যমে কিছু মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পেরেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে যাদের ভালো অবদান থাকবে। যেখানে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছেলেমেয়েরাও মসজিদ ডট কেয়ার সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানবে – সে সব ক্ষেত্রে চতুর্থ ধাপেও টাকা প্রদান করা হবে ইনশাল্লাহ। চতুর্থ ধাপের টাকা সবার বেলায় সমান হবে না। সিলেকশন টিম এর সুপারিশের ভিত্তিতে – বিভিন্ন ব্রাঞ্চের জন্য টাকার পরিমান ভিন্ন হতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- সকল ধাপের জন্যই টাকা প্রেরণ নির্ভর করবে – “মসজিদ ডট কেয়ার” তহবিলে পর্যাপ্ত ফান্ড থাকার উপর।
লেনদেনের হিসাব এবং স্বচ্ছতাঃ-
অনলাইন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেই সমস্ত হিসাব নিকাশ এবং রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ করা হয়। সব কিছু সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ যখন তখন যে কোন তথ্য দেখে নিতে পারবেন। “দাতাগণ” কে কত টাকা দিয়েছেন? “মসজিদ ডট কেয়ার” কোন কোন ব্রাঞ্চকে কত টাকা দিয়েছে? কোন ব্রাঞ্চ কাদের কত টাকা ঋণ প্রদান করেছে? ঋণ গ্রহীতা কবে কত টাকা পরিশোধ করেছেন? কত টাকা বাকী আছে? ব্রাঞ্চের হাতে কত টাকা নগদ আছে? “মসজিদ ডট কেয়ার” এর হাতে এ মুহুর্তে ব্যালেন্স কত আছে?
দাতাগণের তালিকা থেকে বিস্তারিত বাটনে ক্লিক করার পর ফান্ড ট্রেকিং এ ক্লিক করে প্রত্যেকে দেখে নিতে পারবেন কোন দাতা কত টাকা কর্জে হাসানা প্রকল্পে দান করেছেন এবং তার টাকা কোন ব্রাঞ্চকে প্রদান করা হয়েছে । তার প্রদত্ত টাকা থেকে কারা কারা উপকৃত হয়েছেন এবং উপকৃত হচ্ছেন। প্রত্যেক ঋণ গ্রহীতার একাউন্ট স্টেটমেন্ট দেখতে পাবেন। ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রত্যেক ঋণ গ্রহিতার সাথে যোগাযোগের জন্য সকল তথ্য উন্মুক্ত রয়েছে।
ব্রাঞ্চ গুলো মসজিদ ডট কেয়ার থেকে যে পরিমান টাকা গ্রহণ করেছে সেটার রশিদও উম্মুক্ত করে দেওয়া আছে – যাতে কোনভাবেই কারো মধ্যে কোন ধরনের কনফিউশন না থাকে।
ঋণ প্রদান এবং কিস্তি আদায়ের সাথে সাথে টীম লিডার বা ক্যাশিয়ার তার মোবাইল থেকে ওয়েব সাইটে পোস্টিং দিয়ে দিলে ঋণগ্রহীতার মোবাইলে অটো মেসেজ (রিসিট) চলে যায়। কিস্তি প্রদানকারী মেসেজ পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন। এর ফলে একটা চেক এন্ড ব্যালেন্স প্রতিষ্ঠা হয়। আদায়কৃত টাকা পুনরায় ঋণ বিতরণ এর আগে পর্যন্ত ক্যাশিয়ারের হাতে – নগদ ব্যালেন্স হিসাবে শো হয়।
প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর ক্যাশিয়ারের কাছে থাকা নগদ ব্যালান্স ম্যানেজমেন্ট টীম ও মুসুল্লিদের কাছে পেশ করতে হবে। এই সময়েই পূর্বে দেওয়া ঋণের কিস্তি আদায়, নতুন ঋণের আবেদন পত্র গ্রহণ এবং আবেদন পত্র যাচাই করে নতুন ঋণ প্রদানের কাজ সম্পাদন করতে হবে। এই সময়ের পরে এই ঋণ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ- ঋণ দেওয়ার আগে আবেদন কারীদের প্রয়োজন ও তাদের সার্বিক আচার-ব্যবহার, মানসিকতা ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ম্যানেজমেন্ট টীম ও উপদেষ্টা কমিটির।
আপনি যেভাবে ভূমিকা রাখবেনঃ-
সারা দেশের মসজিদগুলোতে কর্জে হাসানা প্রতিষ্ঠার এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রায় সংশ্লিষ্ট হতে চাইলে আপনি বহুভাবে ভূমিকা রাখতে পারবেন। প্রথম কাজটি সবার জন্য কমন। আপনাকে জানতে হবে আর জানার জন্য ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটা ফিচার পড়তে হবে; কার্যক্রম গুলো দেখতে হবে। অতঃপর কোন কাজটি বা কোন কোন কাজগুলো আপনার জন্য সুবিধা জনক হবে বেছে নিন।
ফাইন্যান্সিয়াল সাপোর্ট:- এক বা একাধিক ব্রাঞ্চের স্পন্সর হতে পারেন। অথবা, মাত্র 500 টাকা থেকে শুরু করে যে কোন পরিমাণ টাকা ডোনেশন প্রদান করতে পারেন। “দান করুন” বাটন দেখুন। শতভাগ টাকা ব্রাঞ্চ গুলোর মধ্যে কর্জে হাসানা প্রদানের জন্য বন্টন করে দেওয়া হয়। একটি পয়সাও অন্য খাতে ব্যয় করা হয় না। ফান্ড ট্রাকিং অপশন থেকে জানতে পারবেন আপনার টাকা কোন ব্রাঞ্চকে দেওয়া হয়েছে।
ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট:- চলমান কার্যাবলী পরিচালনার ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের দায়িত্ব নিতে পারেন। নতুন ব্রাঞ্চগুলোর অ্যাপ্রুভাল দেওয়া; ব্রাঞ্চ গুলোর কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা সেটা তদারকি করা; কোন ব্রাঞ্চে ওভারডিউ লোন আছে কিনা সেটা দেখা; কোন ব্রাঞ্চের হাতে ফান্ড পড়ে আছে কিনা সেটা দেখা; কোন একটা ব্লকের সবগুলো ব্রাঞ্চের তদারক করা। এছাড়াও আগামী দিনে যে সমস্ত প্রকল্প গৃহীত হবে সেই প্রকল্প গুলো প্রনয়নে ও বাস্তবায়নে অংশ গ্রহণ।
টেকনিক্যাল ও সিকিউরিটি সাপোর্ট:- সফটওয়্যার ডেভেলপার এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের কাজ। সারা দেশের সকল শ্রেণীর মানুষদের জন্য বহু সেবা আমাদের পরিকল্পনাধীন আছে। এগুলো বাস্তবায়নের জন্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করবেন। মসজিদ ডট কেয়ার এর ওয়েবসাইট; প্রোফাইল; এগুলোর সিকিউরিটির জন্য কাজ করা। ডাটা ব্যাকআপ সাপোর্টের দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা সপ্তাহে একদিন করে ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার এর ডাটা গুলোর ব্যাকআপ রাখবেন।
প্রমোশনাল সাপোর্ট:- ফেসবুক, ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি করা; আমাদের করা পোস্টগুলো দেখা এবং শেয়ার করা; বিভিন্ন জনের কমেন্টের জবাব দেওয়া; পত্রপত্রিকায় আর্টিকেল লেখা ইত্যাদি।
ক্যারিয়ার সাপোর্ট:- “মসজিদ ডট কেয়ার” টিম মেম্বারদের – সামাজিক অবদান, প্রশিক্ষণ এবং তাদের দক্ষতা – লোকাল জায়ান্ট এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলির কাছে তুলে ধরা যাতে চাকুরীর জন্য তাদেরকে ডেকে নেয়।
প্রশিক্ষণ সাপোর্ট:- অনলাইন মিটিং এর মাধ্যমে ব্রাঞ্চ গুলোকে – সফটওয়্যার ট্রেনিং; মোটিভেশনাল ট্রেনিং; লিডারশিপ ট্রেনিং সহ বিভিন্ন ভাবে প্রশিক্ষিত করে তোলা।
ইন্টেলেকচুয়াল সাপোর্ট:- আমরা যেসব পরিকল্পনা গুলো প্রণয়ন করেছি সেগুলো ভালোভাবে পর্যালোচনা করে সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করা। ওয়েব সাইটে আমরা যেসব বিষয়গুলো তুলে ধরেছি সে গুলোকে আরো প্রাঞ্জল এবং বোধগম্য করে তোলা।
লিগ্যাল সাপোর্ট:- আইনগত বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করবেন। আইনের ধারা প্রতিপালনের জন্য করণীয় গুলো করবেন। কেউ ধোঁকাবাজি প্রতারণা করলে – আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এছাড়াও লিগ্যাল সাপোর্ট হিসেবে যা প্রয়োজন হতে পারে।
ডিপ্লোম্যাটিক সাপোর্ট:- এক্ষেত্রে আমরা কোন অবসরপ্রাপ্ত – আই এ এস, আই পি এস, বিচারক, অধ্যাপক বা কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বা এমন পদমর্যাদার কাউকে প্রত্যাশা করব। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে লেখালেখি বা আলাপ-আলোচনা করে সারা দুনিয়াতে কর্জে হাসানা প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাবেন।
ঋণ গ্রহীতার ছবি প্রকাশঃ-
ছবি প্রকাশ করা হয় স্বচ্ছতার জন্য এবং অনিয়ম বা দুর্নীতির অপ-সম্ভাবনা রোধ করার জন্য। আমাদের কার্যক্রম মসজিদ ভিত্তিক। যখন কোন একটা মসজিদে একটা ব্রাঞ্চ চালু হয় তখন সেই এলাকার সকল মানুষ সে বিষয়ে অবগত থাকেন এবং ওয়েব সাইটের মাধ্যমে সকল তথ্য সবাই দেখতে পান। ঋণ গ্রহীতার ছবি এবং বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার কারণে – কোন ভুয়ো কিংবা অযোগ্য মানুষের নামে ঋণ প্রদান করা হলে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ শুরু হয়। কেউ সময় মত কিস্তি পরিশোধ না করলে সেটাও সবাই দেখতে পান। মোট কথা ব্রাঞ্চ ভিত্তিক ঋণ গ্রহীতার সমস্ত তথ্য প্রকাশিত থাকার কারণে এখানে জেনুইন লোকেরাই ঋণ পেয়ে থাকেন এবং কোন ধরনের অনিয়মের সম্ভাবনা থাকে না।
কেন এই দুঃসাহসিক মিশন?
সুদ নিষিদ্ধ করে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পক্ষ থেকে যে কঠিন ও ভয়ঙ্কর বার্তাগুলো দেওয়া হয়েছে সেটা ধনী দরিদ্র সবার জন্য প্রযোজ্য। সুতরাং সবারই উচিত সুদ থেকে বেঁচে থাকা এবং অন্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালানো। আমাদের বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সুদ থেকে দূরে থাকা খুবই অসাধ্য। সুদ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সুদ হীন ঋণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মহান আল্লাহ-র উপর ভরসা রেখে, আল্লাহ-র সন্তুষ্টি অর্জনে একটি পদক্ষেপ হলো – “মসজিদ ডট কেয়ার”।
এক কেজি লবণ কিংবা চিনি কিনতে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে ধনী মানুষটা সমপরিমাণ জিএসটি পরিশোধ করেন। অথচ ঋণের সুদের বেলায় – ধনীদের দিতে হয় সিঙ্গেল ডিজিট সুদ। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের সুদ দিতে হয় ডাবল ডিজিট। অন্যদিকে, শিক্ষা বঞ্চিত প্রান্তিক দরিদ্ররা ব্যাংক কিংবা ভাল এনজিও গুলোতে যাওয়ার যোগ্যতা রাখেন না। যে কারণে বাধ্য হয়ে তাদেরকে যেতে হয় স্থানীয় সুদখোর আর দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে।
আমাদের দেশে স্থানীয় সুদখোর আর দাদন ব্যবসায়ীরা হল রক্তচোষা। এদের বার্ষিক সুদের হার 100%, 150% কখনো 200% বা তার চেয়েও বেশী। মাঝে মাঝে কাগজপত্রের মারপ্যাঁচে এমন উচ্চ হারে সুদ আদায় করা হয় যা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। এত উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ওরা কুলিয়ে উঠতে পারে না। ওয়াদা রক্ষা করতে পারেনা। সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়। তখন তাদের উপর নেমে আসে অত্যাচার, নির্যাতন। কখনো কখনো নির্যাতনের ভয়াবহতার পরিনতি হয় মৃত্যু।
এই অসহায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সহ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষদের সুদের পাপ থেকে মুক্ত করে – তাদের জীবনের সফলতার গল্প গাথা তৈরি করতেই “মসজিদ ডট কেয়ার” নামে আমাদের এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রা। কোন আইন, কোর্টের নির্দেশনা, পুলিশ বা আর্মি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হবে না। প্রতিটা মসজিদে সুদ মুক্ত ঋণ বিতরণ কার্যক্রম চালু করার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
মানুষ তার নিজের অর্জিত টাকা দিয়ে, নিজের জায়গা ওয়াকফ করে দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল ইত্যাদি জনহিতকর কর্ম করে। সে গুলোকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে রেখে যায় যেন আখিরাতে ভালো থাকতে পারে। বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে মসজিদের আলিশান বিল্ডিং বানানো হয়। টাইলস এর জায়গায় মার্বেল লাগানো হয়। অনেক দামী ঝাড় বাতি লাগানো হয়।
এত যাদের সামর্থ্য তারা চাইলে সেই মসজিদের আওতাধীন এলাকার দরিদ্র এবং সংকটে নিপতিত মানুষদের মধ্যে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের জন্য – 50000 বা 1,00,000 টাকার একটা ফান্ড অনায়াসেই রাখতে পারেন। প্রয়োজন শুধু মানুষের চিন্তা-চেতনায় একটা নাড়া দেওয়া। এ কাজটি করতে পারলেই দেশের প্রান্তিক দরিদ্রদের জীবনে এক বিশাল পরিবর্তন আসবে ইনশাল্লাহ।
মসজিদ ভিত্তিক কার্যক্রম কেন?
নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববী থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষা বিস্তার সহ একাধিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাঁর পদাঙ্ক (সুন্নাহ) অনুসরণ করে মানুষকে সুদের পাপ থেকে মুক্তি দিতে এই পরিকল্পনা।
বিশাল এক কার্যক্রম। অথচ অফিস নেই। কর্মচারী নাই। প্রশাসনিক খরচ নেই। পরিচালন খরচ নেই। সবাই কাজ করছে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে। একটি পয়সাও খরচ ব্যতীত সম্পূর্ণ ফ্রি -তে মসজিদ গুলোকে ব্যবহার করে লোকাল ম্যানেজমেন্ট টীমের মাধ্যমে কার্য পরিচালনা হবে – এই চিন্তাধারা থেকেই এটাকে মসজিদ ভিত্তিক করা হয়েছে এবং এর নাম হয়েছে “মসজিদ ডট কেয়ার”।
কোন ধরনের ব্যয় নির্বাহ ব্যতীত সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে প্রান্তিক দরিদ্রদের মধ্যে ব্যাপক ভাবে ক্ষুদ্র ঋণদান কর্মসূচি গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় ছড়িয়ে দিতে চাইলে মসজিদ গুলোকে ব্যবহার করে সেটা সহজেই সেটা সম্ভব।
কোন কোন গ্রামে পাঁচ-ছয়টা পর্যন্ত মসজিদ আছে। ঋণ প্রদানের আওতাধীন এলাকা গুলোকে খুব ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ করে নেবার সুবিধার্থে – মসজিদ ভিত্তিক করা হয়েছে, যাতে ঋণগ্রহীতারা খুব সহজে সেবা পেতে পারেন।
ঋণ প্রদানের আওতাধীন এলাকা খুব ছোট হওয়ার কারণে- ম্যানেজমেন্ট টীম এবং ঋণগ্রহীতা সবাই সবার খুব ঘনিষ্ঠ পরিচিত হয় এবং ম্যানেজমেন্ট টীমের পক্ষে সামগ্রিক ম্যানেজমেন্ট সহজ হয়। শুক্রবার ব্যতীত ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীমের সদস্যদের একত্রিত হওয়ার প্রয়োজন হয় না।
একটা এলাকার প্রায় সব মুসলিমরাই একটা নির্দিষ্ট সময়ে শুক্রবার মসজিদে হাজির হয়ে থাকেন। জুম্মার নামাজের পর এলাকাবাসীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ঋণ বিতরণ করা হলে – সেখানে দুর্নীতির বা অনিয়মের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। মসজিদ গুলোকে কেন্দ্র করে – সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা ব্যতীত “মসজিদ ডট কেয়ার” এর অন্য কোনো ধরনের ধর্মীয় কর্মসূচী নাই।
নিষেধঃ-
“মসজিদ ডট কেয়ার” এর নামে বা এর ব্যানারে – কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা ত্রাণ বিতরণ, ইফতার বিতরণ, ঈদের সময় সেমাই চিনি বিতরণ বা যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি ইত্যাদি বিতরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনোভাবেই এগুলো করা যাবে না।
মসজিদের উন্নয়নের নামে বা অন্য কোনো অজুহাতে ঋণ গ্রহীতাদের কাছ থেকে প্রদত্ত ঋণের টাকা থেকে একটি টাকাও অতিরিক্ত নেওয়া যাবে না।
কর্জে হাসানা ব্যতীত “মসজিদ ডট কেয়ার” এর অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনার নামে বা কোন অনুষ্ঠানের নামে কোন ধরনের চাঁদা বা অনুদান গ্রহণ করা যাবে না – এটা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র কর্জে হাসানা বিতরনের জন্যেই অনুদান গ্রহন করা হয় এবং এই অনুদান ওয়েব সাইটে প্রদর্শিত হয়।
সময় মতো টাকা পরিশোধ না করার কারণে ঋণ গ্রহীতার নিকট হতে জরিমানা আদায় করা যাবে না বা অপদস্ত করা যাবে না। তবে প্রতারক, বাটপারদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
আমাদের সাথে জড়িতদের চিনুনঃ-
“মসজিদ ডট কেয়ার” এর সাথে যুক্ত কারো পরিচয় নিশ্চিত ওয়েবসাইট থেকে তার নাম, ছবি এবং পরিচয় বা পদাধিকার দেখুন। “মসজিদ ডট কেয়ার” – অনন্য সব বৈশিষ্ট্য এবং পরিকল্পনার জন্যে অগণিত মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থন পাচ্ছে। যা দিনে দিনে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হচ্ছে। মানুষের এই ভালোবাসা এবং সমর্থনের সুযোগে কেউ যেন ধোঁকাবাজি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিতে না পারে সে জন্যে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
দাতাগণের প্রতি বিশেষ সর্তকতাঃ-
“মসজিদ ডট কেয়ার” ( www.masjid.care ) ওয়েব সাইটে উল্লেখ নেই এমন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা অন্য কোন মাধ্যমে কোন ভাবেই টাকা জমা দেবেন না। আপনার দানের বিবরণ যদি “দাতাগণ” এর তালিকায় না পাওয়া যায় – তাহলে সেই টাকা “মসজিদ ডট কেয়ার” বা কোন ব্রাঞ্চের অ্যাকাউন্টে জমা হয়নি। তারমানে – আপনার প্রদত্ত টাকা দিয়ে কোন দরিদ্র মানুষ উপকৃত হচ্ছেন না। আপনি প্রতারণার শিকার হয়ে থাকতে পারেন। যার মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন শীঘ্রই তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করুন। আপনার এই অনুদানের জন্যে “মসজিদ ডট কেয়ার” এর কোন জবাবদিহিতা বা দায়বদ্ধতা নেই।
আপনার এলাকার মসজিদের ব্রাঞ্চ ম্যানেজমেন্ট টীমের হাতে যদি আপনি নগদ অনুদান দিয়ে থাকেন – তবে অবশ্যই আমাদের ওয়েব সাইটে আপনার নামে উক্ত ডোনেশন আপডেট বা প্রকাশিত হয়েছে কিনা তা আপনি নিশ্চিত হয়ে নেবেন। এর ফলে চেক এন্ড ব্যালেন্স থাকে।
আপনি “মসজিদ ডট কেয়ার” বা কোন ব্রাঞ্চকে অনুদান দিয়েছেন অথচ আপনার নাম মসজিদ ডট কেয়ারের “দাতাগণ” তালিকায় নেই! এমন যদি হয়ে থাকে, তাহলে কাকে কি ভাবে টাকা দিয়েছেন তার নাম এবং ব্রাঞ্চ নাম্বার সহ তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের অবগত করুন।