কর্জে হাসানা কী? কর্জে হাসানার গুরুত্ব

No Comments

Nursitara Khatun

By Nur

চলার পথে সবসময় সব প্রয়োজন মানুষের পূরণ করা সম্ভব হয় না। প্রয়োজন হয় ঋণ গ্রহণের। ইদানীং সুদমুক্ত ঋণ পাওয়া যেন সোনার হরিণ। ‘করজ’ অর্থ ঋণ, ধার বা কর্জ; আর হাসানা অর্থ উত্তম। উভয়ে মিলে অর্থ হয় ‘উত্তম ঋণ’। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায়, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায়, সওয়াবের নিয়তে বিনা শর্তে কাউকে কোনো কিছু ঋণ দেয়াকে ‘কর্জে হাসানা’ বা উত্তম ঋণ বলে।

ইসলামি আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় কর্জে হাসানার গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতে এই কর্জে হাসানার উল্লেখ আছে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় দানশীল নর-নারী, যারা আল্লাহকে উত্তমরূপে ধার দেয়, তাদের দেয়া হবে বহুগুণ। তাদের জন্য রয়েছে সম্মানজনক পুরস্কার। (সুরা হাদিদ, আয়াত: ১৮)

মহান আল্লাহ বলেন, ‘কে সে, যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দেবে? আল্লাহ তার জন্য একে বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন। আর আল্লাহই (জীবিকা) কমান বা বাড়ান। আর তোমাদের তারই কাছে ফিরিয়ে নেয়া হবে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৪৫)

মহান আল্লাহ আরও বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম করো, জাকাত দাও আর আল্লাহকে দাও কর্জে হাসানা। তোমাদের আত্মার মঙ্গলের জন্য তোমরা যা কিছু ভালো আগে পাঠাবে, পরিবর্তে তোমরা তার চেয়ে আরও ভালো ও বড় পুরস্কার পাবে আল্লাহর কাছ থেকে। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো, আল্লাহর কাছে। আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল, আয়াত: ২০)

‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও, তিনি তোমাদের জন্য তা বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন, আর তিনি তোমাদের ক্ষমা করবেন। আল্লাহ তো গুণগ্রাহী, সহিষ্ণু।’ (সুরা তাগাবুন, আয়াত: ১৭)

ঋণগ্রহীতার দায়িত্ব হচ্ছে সময়মতো পরিশোধ করে দেওয়া। বিশেষ প্রয়োজন এবং সময়মতো পরিশোধের প্রবল ইচ্ছে ছাড়া ঋণগ্রহণ জায়েজ নেই। আর অপচয় ও অন্যায় কাজে ঋণ নেওয়া এবং ঋণকে জীবনের সাধারণ নিয়মে পরিণত করার তো প্রশ্নই আসে না। উপর্যুক্ত আলোচনা শুধু সাধারণ ঋণ তথা সুদবিহীন ঋণ  নেওয়া সম্পর্কে। আর সুদ ভিত্তিক ঋণ নেওয়া সব সময় হারাম। 

Leave a Comment